শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন
নড়াইলে গরু চোর সন্দেহে দুই জনকে পিটিয়ে হত্যা। নড়াইল সদর উপজেলার বীড়গ্রামে গরু চোর সন্দেহে দু’ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে নড়াইল-গোবরা সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ স্টেশনের উত্তর পাশের শস্য ক্ষেতের মধ্য থেকে এবং দক্ষিণ পার্শ্বের মেহগনি বাগানের মধ্যে পড়ে থাকা লাশ দুটি উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য পরে লাশ দুটি নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।তিনি হলেন বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার দাড়িয়া বারইডাঙ্গা গ্রামের গফুর শেখের ছেলে আসাদুল শেখ (৩৬)। অপর ব্যক্তির নাম-ঠিকানা জানা যায় নি। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত এক মাসের মধ্যে বীড়গ্রামের সুশেন বিশ্বাসের ১টি, উজিরপুর গ্রামের রাম বিশ্বাসের ৫টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। ওই ঘটনার পর থেকে দু’গ্রামের লোকজন গরু চোর ধরতে নিয়মিত পাহারা দিত। সোমবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বীড়গ্রামের রেবো বিশ্বাসের বাড়ি চোরেরা গরু চুরি করতে গেলে বাড়ির মালিক চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে চোরদের ধাওয়া দেয়। গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে চোর দলের ৩-৪ জন পালিয়ে যায়। এ সময় গরু চোর সন্দেহে আসাদুল শেখ ও অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ধরে লোকজন গনপিটুনি দিয়ে নড়াইল-গোবরা সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থলেই দু’ব্যক্তি মারা যান। স্থানীয় কলোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আশীষ কুমার বিশ্বাস জানান,ইউনিয়নের বীড়গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামে দিনের বেলায় ফেরিওয়ালা সেজে এরা কম্বল, থালা-বাটি ও অন্যান্য মালামাল বিক্রি করে খোঁজখবর নিয়ে রাতের বেলা চুরি কাজে লিপ্ত হতো। বীড়গ্রামের সুশেন বিশ্বাসের ১টি,উজিরপুর গ্রামের রাম বিশ্বাসের ৫টি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে গ্রামের লোকজন পাহারা দেয়া শুরু করে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ইদানিং নড়াইল ও লোহাগড়ায় গরু চুরির প্রবনতা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ সুপার বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে নিয়ে মিটিং করে বিভিন্ন এলাকায় পাহারায় ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতরাতে গ্রামবাসী এঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় পুলিশ বাদী মামলা দায়ের হবে।